আলীগঞ্জের চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও দখলবাজ আব্দুল রশিদ, আবদুল হান্নান,কবির,কামালের বিরুদ্ধে জমি জোরপূর্বক দখল করে ট্রাক ষ্ট্যান্ড স্থাপনের অভিযোগ করেছেন নাসিরউদ্দিন ভূইয়া ও নাদিয়া আক্তার।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ী থানার গবিন্দপুর হাজী লেন এলাকার মৃত গোলাম গাউছ ভূইয়ার পুত্র নাসিরউদ্দিন ভূইয়া ও ঢাকার শান্তিনগর থানার মগবাজার এলাকার মৃত আতাউর রহমানের স্ত্রী নাদিয়া আক্তার বাদী হয়ে বুধবার (২৬ আগষ্ট) ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন আলীগঞ্জ মসজিদ সংলগ্ন মৃত হাজ্বী বাহার আলী দুই পুত্র আব্দুল রশিদ ও আবদুল হান্নান আমার ক্রয়কৃত জমিতে জোরপূর্বক দখল করে ট্রাক ষ্ট্যান্ড বানানোর পায়তারা করিতেছে।
ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় সাবকবলা দলিল মূলে সাড়ে ২৯ শতাংশ ক্রয় করে নামজারী করে নিয়মিত খাজনা পরিষদ করে আসছি।
বিবাদীগন ৩ মাস পূর্বে আমার ভাড়াটিয়া তানভীর আহম্মেদকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। অদ্য বুধবার (২৬ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় বিবাদী রশিদ ও হান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তারা কোন জবাব না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও প্রাননাশের হুমকি দেন।তারা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন।
এসআই শফিকুল ইসলামকে অভিযোগের তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ভূক্তভোগী নাসিরউদ্দিন ভূইয়া সহ এলাকাবাসী জানান,রশিদ ও হান্নান এলাকায় ভূমিদস্যু ও দখলবাজ হিসেবে পরিচিত।এরা এলাকার নিরীহ লোকদের চিহ্নিত করে তাদের জমি দখল করে থাকে। এর আগেও ২ জন নিরীহ লোকের জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
নাসিরউদ্দিন ভূইয়া ও নাদিয়া আক্তার জানান,১৯৯৩ সালে আমরা ৮ জন মালিক নাসিরউদ্দিন ভূইয়া, নিজামউদ্দিন,অরুন চন্দ্র সরকার,আব্দুল হক,আতাউর রহমান,সালাউদ্দিন ফটিক,মোঃ শরীফ ও আব্দুল মতিন ১একর ৯০ শতাংশ জমি ক্রয় করে থাকি জয়রানী গোহ এর একমাত্র কন্যা মনোদাসীর পুত্র রতন চন্দ্র সরকারের কাছ থেকে। আমরা নামজারী করে খাজনা প্রদান করে ভোগদখল করে আসছি।
এই সম্পত্তির উপর কুদৃষ্টি পড়ে আলীগঞ্জ রেললাইন এলা কার সালাউদ্দিনের পুত্র কামাল হোসেন,কবির হোসেন,হাজ্বী বাহার আলীর পুত্র হান্নান,রশিদ সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীর।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ভূমিদস্যু, দখলবাজ ও স্থানীয় সন্ত্রাসী কবির হোসেন, কামাল হোসেন,হান্নান,রশিদ গংরা জাল দলিল সম্পাদন করে জমির মালিকানা দাবী করে ৩ সাজানো ও বানোয়াট মামলা নং- সিভিল ৫৬৮/১৯,নামজারী বাতিল মামলা নং-২৫৯/১৯,ফোরটি ফাইভ মামলা নং-৬৬৭/১৯, পরে ফতুল্লা থানার সাবেক ওসি তদন্ত শাহাদাত হোসেন উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে কাগজ পর্যালোচনা করে নাসিরউদ্দিন গংদের কাগজ সঠিক বলে রায় দেন। উভয় পক্ষকে শান্তিবজায় রাখার নির্দেশ দেন। জাল দলিল সম্পাদন কারী কবির গংদের বলেন,মামলার রায় নিয়ে আসেন আমরা আপনাদের জমি বুঝিয়ে দিব। পরে শ্রমিক নেতা কাওছার আহম্মেদ পলাশের শরণাপন্ন হলে তিনি উভয় পক্ষের কাগজপত্র রেখে ১৫ দিনের সময় নেন। সিনিয়র আইনজীবী দিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করিয়ে দেখেন নাসিরউদ্দিন ভূইয়া গংরা সঠিক। কবির,কামাল, হান্নান রশিদ গংদের বাড়াবাড়ি না করতে বললেও তার কথা মানেনি।
বর্তমানে জমির মালিক নাসিরউদ্দিন ভূইয়া,নাদিয়া আক্তার সহ জমির অন্য মালিকদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে নানান ভাবে হুমকি প্রদান করছে উল্লেখিত ভূমিদস্যুগন।
থানা কর্তৃক কোন ধরনের স্থাপনা নির্মান করতে নিষেধ করলেও ভূমিদস্যু কামাল,কবির,রশিদ,হান্নান ট্রাক রেখে ও বালু ফেলে প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্টি করছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হান্নান গনমাধ্যমকে বলেন,৮ জন জমির মালিকের মধ্যে বড় ভাই আব্দুল মতিন ৩০ শতাংশের মালিক। আমরা তিন ভাই ১৫ শতাংশ আব্দুল মতিনের কাছ থেকে কিনেছি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন,২ টি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য বলে এসেছে।